১০ হাজার টাকার মধ্যে কোন জুতা কিনা উচিত?

 


আপনি যদি  ১০ হাজার টাকার মধ্যে কোন জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ দিতে পারি।


প্রথমে, আপনার জুতা কেনার উদ্দেশ্য কি তা বেছে নিন। আপনি যদি ফরমাল, ক্যাজুয়াল, স্পোর্টস বা অন্য কোন ধরনের জুতা কিনতে চান, তাহলে তা আপনার নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।


দ্বিতীয়ত, আপনার জুতা কেনার বাজার কোনটি তা বেছে নিন। আপনি যদি অনলাইন বা অফলাইন বাজার থেকে জুতা কিনতে চান, তাহলে তা আপনার মূল্য, মান, বিকল্প ও সেবা সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।


তৃতীয়ত, আপনার জুতা কেনার ব্র্যান্ড কোনটি তা বেছে নিন। বাংলাদেশে অনেক ব্র্যান্ডের জুতা পাওয়া যায়, যেমন বাটা, পূজা, আপেক্স, লেদারেক্স, নর্থ স্টার, নাইকি, এডিডাস, রিবক, স্কেচার্স ইত্যাদি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা গুলির মূল্য, মান, ডিজাইন ও দৈর্ঘ্য ভিন্ন হতে পারে।


চতুর্থত, আপনার জুতা কেনার রিভিউ গুলি পড়ুন। আপনি যদি অনলাইন বাজার থেকে জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, সামাজিক মাধ্যম বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে রিভিউ গুলি পড়তে পারেন। রিভিউ গুলি আপনাকে জুতা গুলির মূল্য, মান, ফিটিং, কালার, কাস্টমার সার্ভিস ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেবে।


পঞ্চমত, আপনার জুতা কেনার বাজেট নির্ধারণ করুন। আপনি যদি ১০ হাজার টাকার মধ্যে জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা গুলি থেকে বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি ফরমাল জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি বাটা, আপেক্স, লেদারেক্স, নর্থ স্টার, ক্লার্কস, একো বা জিয়োক্স এর জুতা গুলি দেখতে পারেন। এই ব্র্যান্ডের জুতা গুলির দাম ২ থেকে ৮ হাজার টাকা এর মধ্যে পড়ে। আপনি যদি ক্যাজুয়াল জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি বাটা, আপেক্স, লেদারেক্স, নর্থ স্টার, স্কুইজ, মোজারিস, বাবলগুমারস, ব্যালেরিনা বা বি-ফার্স্ট এর জুতা গুলি দেখতে পারেন। এই ব্র্যান্ডের জুতা গুলির দাম ১ থেকে ৬ হাজার টাকা এর মধ্যে পড়ে। আপনি যদি স্পোর্টস জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি নাইকি, এডিডাস, রিবক, স্কেচার্স, লোটো, কলম্বিয়া, ক্যাটারপিলার বা স্কুইজ স্পোর্টস এর জুতা গুলি দেখতে পারেন। এই ব্র্যান্ডের জুতা গুলির দাম ২ থেকে ১০ হাজার টাকা এর মধ্যে পড়ে।


এগুলি আমার কিছু পরামর্শ যা আপনি  ১০ হাজার টাকার মধ্যে জুতা কেনার সময় মনে রাখতে পারেন। আশা করি আপনার কাছে এগুলি উপকারী হবে। আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান, তাহলে আমাকে জানান। 



বাংলাদেশের জুতা কোম্পানি

 



বাংলাদেশে জুতা শিল্প একটি বৃহত্তর শিল্প যা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের জুতা শিল্প ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার ২০২১ ইয়ারবুক অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশ অষ্টম বৃহত্তম জুতা উৎপাদন এবং ৩৬৬ মিলিয়ন জোড়া নিয়ে নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার ছিল। 


বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি এখন তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের শীর্ষ জুতা কোম্পানিসমূহ হলো:


বাটা: 

বাটা বাংলাদেশের জুতা ব্যবসার শীর্ষ স্থান ধরে রাখার ক্ষেত্রে, বাটা এর অবশ্যই অনেক অবদান রয়েছে। ১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত, বাটা প্রায় ৬,০০০ খুচরা দোকান এবং ৭০ টিরও বেশি দেশে ১০০,০০০ এরও বেশি ডিলার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মালিক। ১৯৬২ সালে দেশের ৬৩টি জেলায় মোট ২২৬টি রিটেইল আউটলেট নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে বাটা। ঢাকার টঙ্গী ও ধামরাইয়ে বাটার দুটি উৎপাদন কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন জোড়া জুতা উৎপাদিত হয়। এখন বাটা বাংলাদেশে একাধিক ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি করছে। 


পূজা: 

পূজা একটি বাংলাদেশী জুতা কোম্পানি যা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পূজা বাংলাদেশের প্রথম জুতা কোম্পানি যা আন্তর্জাতিক মান সম্মত জুতা উৎপাদন করে। পূজা এখন প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশে জুতা রপ্তানি করে। পূজা এর মূল বাজার হলো ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, মধ্য পূর্ব এবং আফ্রিকা। পূজা এর কারখানা ঢাকার সাভারে অবস্থিত। পূজা এর জুতা গুলি বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না। 

আপেক্স: 

আপেক্স বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জুতা কোম্পানি যা ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আপেক্স বাংলাদেশের প্রায় ২০% জুতা বাজারের অংশ ধরে রাখে। আপেক্স এর প্রধান কারখানা ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত। আপেক্স এর জুতা গুলি বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। আপেক্স এর কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলো আপেক্স, স্প্রিন্ট, মুহুর্ত, স্কুইজ, স্কুইজ কিডস, স্কুইজ বেবি, স্যান্ডাল ওয়ার্ল্ড, ভেন্টুর, নিউটন, নিউটন কিডস, নিউটন বেবি, মোজারিস, মোজারিস কিডস, মোজারিস বেবি, নাইকি, ক্লার্কস, একো, জিয়োক্স, কলম্বিয়া, লোটো, স্কেচার্স, এডিডাস, রিবক এবং ক্যাটারপিলার। 

লেদারেক্স: 

লেদারেক্স বাংলাদেশের একটি জুতা কোম্পানি যা ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। লেদারেক্স বাংলাদেশের প্রথম জুতা কোম্পানি যা আন্তর্জাতিক মান সম্মত জুতা উৎপাদন করে। লেদারেক্স এর কারখানা ঢাকার আশুলিয়াতে অবস্থিত। লেদারেক্স এর জুতা গুলি বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। লেদারেক্স এর কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলো লেদারেক্স, লেদারেক্স কিডস, লেদারেক্স বেবি, লেদারেক্স স্পোর্টস, লেদারেক্স ক্যাজুয়াল, লেদারেক্স ফরমাল, লেদারেক্স স্যান্ডাল, লেদারেক্স বুটস, লেদারেক্স স্লিপার, লেদারেক্স মোজারি, লেদারেক্স ব্যাগ, লেদারেক্স বেল্ট, লেদারেক্স ওয়ালেট এবং লেদারেক্স সক্স। 


এগুলি বাংলাদেশের কিছু জুতা কোম্পানির নাম এবং তথ্য। আশা করি আপনার জানা দরকার ছিল। আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান, তাহলে আমাকে জানান। 

সাইকেল সু জুতা

 


সাইকেল সু জুতা হলো একধরনের জুতা যা সাইকেল চালানোর সময় পায়ের সাথে পেডালের সংযোগ রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের জুতা গুলি সাধারণত চামড়া, ক্যানভাস, নাইলন বা অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল থেকে তৈরি করা হয়। সাইকেল সু জুতা গুলির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:


  1. সাইকেল সু জুতা গুলি পায়ের আকার ও আস্তরণের সাথে মিলিত হয়, যাতে পায়ের আরাম ও স্থিতিশীলতা বাড়ে।
  2. সাইকেল সু জুতা গুলির তলা সবসময় নরম না, বরং কঠিন ও সমতল হয়, যাতে পেডালের সাথে ভালো করে সংযোগ হয় এবং পায়ের চাপ সমান ভাবে বিন্যস্ত হয়।
  3.  সাইকেল সু জুতা গুলির আঙুলের অংশ সাধারণত বৃহত্তর ও বেশি সংরক্ষিত হয়, যাতে পেডালের সাথে আঘাত হলে পায়ের আঙুল আহত না হয়।
  4.  সাইকেল সু জুতা গুলির পিছনের অংশ সাধারণত উঁচু ও কঠিন হয়, যাতে পায়ের পিছনের অংশ সমর্থিত ও সুরক্ষিত থাকে।
  5.  সাইকেল সু জুতা গুলির নিচের অংশে কিছু ক্লিপ বা ক্লিচ থাকে, যা পেডালের সাথে জুড়ে থাকে। এই ক্লিপ বা ক্লিচ গুলি পায়ের ও পেডালের মধ্যে একটি স্থায়ী সংযোগ তৈরি করে, যা সাইকেল চালানোর ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ায়।


এই ধরনের জুতা গুলি সাধারণত সাইকেল রেসিং, মাউন্টেন বাইকিং, ট্রায়াথলন, সাইক্লোক্রস বা অন্যান্য সাইকেল বিষয়ক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই জুতা গুলি সাধারণ জুতা গুলির চেয়ে বেশি দামি হতে পারে, কিন্তু এগুলি সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা ও আনন্দ বাড়াতে সাহায্য করে।


বাংলাদেশে সাইকেল সু জুতা কিনতে চাইলে আপনি অনলাইন বা অফলাইন বাজার থেকে কিনতে পারেন। অনলাইন বাজারে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, সামাজিক মাধ্যম বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সাইকেল সু জুতা গুলির রিভিউ, দাম, মান, ফিটিং, কালার, কাস্টমার সার্ভিস ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। অফলাইন বাজারে আপনি বিভিন্ন দোকান, মল, সুপারশপ বা অন্যান্য জায়গা থেকে সাইকেল সু জুতা গুলি দেখে নিতে পারেন।


বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় সাইকেল সু জুতা গুলি দেখতে পারেন। এই ব্র্যান্ডের জুতা গুলির দাম ২ থেকে ১০ হাজার টাকা এর মধ্যে পড়ে।


এই ধরনের জুতা গুলি সাধারণত সাইকেল রেসিং, মাউন্টেন বাইকিং, ট্রায়াথলন, সাইক্লোক্রস বা অন্যান্য সাইকেল বিষয়ক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই জুতা গুলি সাধারণ জুতা গুলির চেয়ে বেশি দামি হতে পারে, কিন্তু এগুলি সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা ও আনন্দ বাড়াতে সাহায্য করে।


বাংলাদেশে সাইকেল সু জুতা কিনতে চাইলে আপনি অনলাইন বা অফলাইন বাজার থেকে কিনতে পারেন। অনলাইন বাজারে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, সামাজিক মাধ্যম বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সাইকেল সু জুতা গুলির রিভিউ, দাম, মান, ফিটিং, কালার, কাস্টমার সার্ভিস ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। অফলাইন বাজারে আপনি বিভিন্ন দোকান, মল, সুপারশপ বা অন্যান্য জায়গা থেকে সাইকেল সু জুতা গুলি দেখে নিতে পারেন।


বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় সাইকেল সু জুতা ব্র্যান্ড হলো:


নাইকি: 

নাইকি হলো একটি আমেরিকান স্পোর্টস ব্র্যান্ড যা বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস জুতা উৎপাদন করে। নাইকি এর সাইকেল সু জুতা গুলি বিশেষভাবে সাইকেল রেসিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়। নাইকি এর সাইকেল সু জুতা গুলি চামড়া, নাইলন, পলিউরিথেন বা অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল থেকে তৈরি করা হয়। নাইকি এর সাইকেল সু জুতা গুলির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো কঠিন ও সমতল তলা, বৃহত্তর ও সংরক্ষিত আঙুল, উঁচু ও কঠিন পিছনের অংশ, ক্লিপ বা ক্লিচ নিচের অংশে, আকর্ষণীয় ও বিভিন্ন রঙের ডিজাইন। নাইকি এর সাইকেল সু জুতা গুলির দাম ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা এর মধ্যে পড়ে। আপনি যদি নাইকি এর সাইকেল সু জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি [নাইকি বাংলাদেশ] এর ওয়েবসাইট বা অন্যান্য অনলাইন বাজার থেকে কিনতে পারেন।

এডিডাস: 

এডিডাস হলো একটি জার্মান স্পোর্টস ব্র্যান্ড যা বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস জুতা উৎপাদন করে। এডিডাস এর সাইকেল সু জুতা গুলি বিশেষভাবে মাউন্টেন বাইকিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়। এডিডাস এর সাইকেল সু জুতা গুলি চামড়া, ক্যানভাস, নাইলন, পলিউরিথেন বা অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল থেকে তৈরি করা হয়। এডিডাস এর সাইকেল সু জুতা গুলির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো কঠিন ও খোঁজযুক্ত তলা, বৃহত্তর ও সংরক্ষিত আঙুল, উঁচু ও কঠিন পিছনের অংশ, ক্লিপ বা ক্লিচ নিচের অংশে, আকর্ষণীয় ও বিভিন্ন রঙের ডিজাইন। এডিডাস এর সাইকেল সু জুতা গুলির দাম ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা এর মধ্যে পড়ে। আপনি যদি এডিডাস এর সাইকেল সু জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনি [এডিডাস বাংলাদেশ] এর ওয়েবসাইট বা অন্যান্য অনলাইন বাজার থেকে কিনতে পারেন।


এই ধরনের জুতা গুলি সাধারণত সাইকেল রেসিং, মাউন্টেন বাইকিং, ট্রায়াথলন, সাইক্লোক্রস বা অন্যান্য সাইকেল বিষয়ক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই জুতা গুলি সাধারণ জুতা গুলির চেয়ে বেশি দামি হতে পারে, কিন্তু এগুলি সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা ও আনন্দ বাড়াতে সাহায্য করে।




লোটো কোম্পানির ইতিহাস

  



লোটো কোম্পানি হলো একটি ইতালীয় স্পোর্টস ব্র্যান্ড যা বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস জুতা, পোশাক ও এক্সেসরিজ উৎপাদন করে। লোটো কোম্পানি ১৯৭৩ সালে ইতালির মন্টেবেলুনা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। লোটো কোম্পানির প্রথম পণ্য ছিল টেনিস জুতা, যা পরে বাস্কেটবল, ভলিবল, অ্যাথলেটিক্স ও ফুটবলের জন্য বিভিন্ন মডেল তৈরি করে। লোটো কোম্পানি বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে এর পণ্য বিক্রি করে এবং বিশ্বের বিখ্যাত ক্রীড়াকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে থাকে। লোটো কোম্পানি বাংলাদেশে ও এর পণ্য বিক্রি করে এবং বাংলাদেশের ফ্যাশন সচেতন গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।


লোটো কোম্পানির উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের কাছে মানসম্পন্ন, আধুনিক ও আরামদায়ক স্পোর্টস পণ্য সরবরাহ করা। লোটো কোম্পানি তার পণ্য তৈরির জন্য উচ্চমানের ম্যাটেরিয়াল, টেকনোলজি ও ডিজাইন ব্যবহার করে। লোটো কোম্পানি তার পণ্যের মধ্যে নিজস্ব লোগো ব্যবহার করে, যা একটি বৃত্তাকার ক্ষেত্রের মধ্যে দুটি সমান্তরাল রেখা দ্বারা তৈরি। লোটো কোম্পানির লোগোটি তার পণ্যের পাশাপাশি তার বিজ্ঞাপন, প্যাকেজিং, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়।


লোটো কোম্পানি বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস জুতা, পোশাক ও এক্সেসরিজ বিক্রি করে। লোটো কোম্পানির জুতা গুলি চামড়া, নাইলন, পলিউরিথেন বা অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল থেকে তৈরি করা হয়। লোটো কোম্পানির জুতা গুলি কঠিন ও সমতল তলা, বৃহত্তর ও সংরক্ষিত আঙুল, উঁচু ও কঠিন পিছনের অংশ, ক্লিপ বা ক্লিচ নিচের অংশে, আকর্ষণীয় ও বিভিন্ন রঙের ডিজাইন সহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 


লোটো কোম্পানির জুতা গুলি সাধারণত সাইকেল রেসিং, মাউন্টেন বাইকিং, ট্রায়াথলন, সাইক্লোক্রস বা অন্যান্য সাইকেল বিষয়ক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।


 লোটো কোম্পানির পোশাক গুলি কাপড়, কটন, পলিএস্টার বা অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল থেকে তৈরি করা হয়। লোটো কোম্পানির পোশাক গুলি স্বচ্ছ, শুকনো, নরম, স্ট্রেচি, শ্বাসযোগ্য, ও আরামদায়ক হয়। 

মোজো কোম্পানির ইতিহাস


মোজো হল একটি বাংলাদেশী কোমল পানীয় ব্র্যান্ড, যা আকিজ গ্রুপ এর অধীনে উৎপাদিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম লোকাল কোলা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। এটি ২০০৭ সালে বাজারে আসে এবং তারপর থেকে বাংলাদেশের কোমল পানীয় বাজারে একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উভয়তে উঠে। মোজো এর লোগো হল একটি লাল রঙের বৃত্তের মধ্যে সাদা রঙের মোজো শব্দ। এটি বাংলাদেশের যুবকেরা কে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে এবং এর স্লোগান হল "মোজো দিয়ে মজা লয়"। 

মোজো এর উৎপত্তি হয়েছিলো আকিজ গ্রুপ এর চেয়ারম্যান স্ক. আকিজ উদ্দিন এর দক্ষ নেতৃত্বে। তিনি বাংলাদেশের কোমল পানীয় বাজারে একটি লোকাল কোলা ব্র্যান্ড তৈরি করার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। তিনি একটি আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোজো কে উৎপাদন করেন। তিনি মোজো কে বাংলাদেশের স্বাভাবিক রুচি এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী সাজিয়ে দেন। মোজো এর স্বাদ এবং গুণমান বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়। 

মোজো এর বিকাশ হয়েছে একটি উদাহরণী এবং সৃজনশীল বিপণন কৌশলের মাধ্যমে। মোজো এর বিজ্ঞাপন গুলো বাংলাদেশের যুবকেরা কে আকর্ষণ করে এবং তাদের মজার এবং সহজ জীবনশৈলী দেখায়। মোজো এর বিজ্ঞাপন গুলো বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা, অভিনেত্রী, ক্রিকেটার, গায়ক, গায়িকা এবং অন্যান্য জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। মোজো এর বিজ্ঞাপন গুলো মোজার সাথে সাথে একটি সামাজিক বার্তা ও দেয়। যেমন, মোজো এর একটি বিজ্ঞাপন দেখায় যে কিভাবে মোজো দিয়ে একটি বিদ্যুৎ বিপদের সময় একটি বিজ্ঞান মেলায় মোজো দিয়ে একটি ব্যাটারি তৈরি করে এবং তার মাধ্যমে বিদ্যুৎ চালু করে। এই বিজ্ঞাপনটি দেখায় যে মোজো কেবল একটি কোমল পানীয় নয়, বরং এটি একটি উদ্ভাবনী এবং সমাধানমূলক পণ্য।

তারপর, মোজো এর সাফল্যের পেছনে একটি দক্ষ এবং অনুশীলনশীল টিম আছে। মোজো এর উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন, বিজ্ঞাপন এবং গ্রাহক সেবা বিভাগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার কর্মী কাজ করে থাকে। মোজো এর টিম নিয়মিতভাবে মোজো এর স্বাদ, গুণমান, পরিবেশ, প্যাকেজিং এবং বিজ্ঞাপন উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ করে থাকে। মোজো এর টিম এর লক্ষ্য হল বাংলাদেশের গ্রাহকদের কে সেরা মানের কোমল পানীয় প্রদান করা। 


মোজো এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল বাংলাদেশের বাইরে ও মোজো এর বাজার বিস্তার করা। মোজো এর উদ্যোক্তা স্ক. আকিজ উদ্দিন বলেছেন যে তিনি মোজো কে একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি মোজো এর স্বাদ, গুণমান এবং প্যাকেজিং কে বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী সমন্বয় করার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি আশা করেন যে মোজো এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং রুচি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যাবে। 



এপেক্স কোম্পানির ইতিহাস


এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের একটি প্রমুখ জুতা উৎপাদন ও বিক্রয় কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন সৈয়দ মানজুর আলম। এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর শুরু হয় ১৯৭৫ সালে একটি ছোট জুতা কারখানা হিসেবে। তখন এই কারখানার নাম থাকতো এপেক্স ট্যানারি এন্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি। এই কারখানার মূল কাজ ছিল চামড়া উৎপাদন ও রপ্তানি করা। এই কারখানা থেকেই পরে এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর উৎপত্তি হয়।



এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর বর্তমান পরিচালনা কমিটি হলেন সৈয়দ নাসিম মানজুর (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), সৈয়দ নাজিম মানজুর (পরিচালক), সৈয়দ নাজিব মানজুর (পরিচালক), সৈয়দ নাজিম মানজুর (পরিচালক) এবং সৈয়দ নাজিম মানজুর (পরিচালক)। এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর মূল কার্যালয় অবস্থিত ঢাকার তেজগাঁও এলাকায়। এই কোম্পানির মোট কর্মচারী সংখ্যা প্রায় ১২,০০০ জন।

এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর প্রধান পণ্য হল জুতা। এই কোম্পানি বিভিন্ন ধরণের জুতা উৎপাদন করে যেমন ফরমাল, ক্যাজুয়াল, স্পোর্টস, স্যান্ডেল, বুট, স্লিপার ইত্যাদি।¹ এই কোম্পানির জুতার মান ও নির্মাণ শৈলী বিশ্বমানের। এই কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জুতা রপ্তানি করে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত, ইত্যাদি। এই কোম্পানির বার্ষিক রপ্তানি আয় প্রায় ১৫০ কোটি ডলার।



এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর জুতা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড নামে পাওয়া যায় যেমন এপেক্স, স্প্রিন্ট, মোজা, স্কুইজ, স্যান্ডাক, ভেন্টুর, নূডলস, স্কুইজ কিডস, স্কুইজ বেবি, স্কুইজ ম্যাট, স্কুইজ লেডি, স্কুইজ ম্যান, স্কুইজ স্পোর্টস, স্কুইজ ক্যাজুয়াল, স্কুইজ ফরমাল, স্কুইজ বুট, স্কুইজ স্লিপার, স্কুইজ স্যান্ডেল, স্কুইজ এক্সট্রা, স্কুইজ ক্লাসিক, স্কুইজ প্রিমিয়াম, স্কুইজ এক্সক্লুসিভ, স্কুইজ লাইফস্টাইল, স্কুইজ কলেকশন, স্কুইজ লিমিটেড এডিশন, স্কুইজ স্পেশাল এডিশন, স্কুইজ সিরিজের জুতা গুলো এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিক্রিত পণ্য। এই সিরিজের জুতা গুলো বিভিন্ন রঙ, আকার, ডিজাইন ও মূল্যে পাওয়া যায়। এই জুতা গুলো সব ধরণের মানুষের জন্য উপযুক্ত। এই জুতা গুলো ব্যবহারে আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী।

এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর জুতা বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে বেশি চাহিদা পায় কারণ এই কোম্পানি তার গ্রাহকদের পছন্দ ও প্রয়োজন মতো জুতা উৎপাদন করে। এই কোম্পানি নিয়মিত ভাবে নতুন নতুন জুতা মডেল বাজারে নিয়ে আসে যা গ্রাহকদের আকর্ষণ আরো বাড়ায়। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর জন্য বিভিন্ন প্রচার ও বিক্রয় কর্মসূচি গ্রহণ করে যেমন টিভি, রেডিও, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ইত্যাদি। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর জন্য বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার, বাংলাদেশ চামড়া শিল্প সমিতি পুরস্কার, বাংলাদেশ রপ্তানি শিল্প সমিতি পুরস্কার, বাংলাদেশ জুতা শিল্প সমিতি পুরস্কার, বাংলাদেশ জুতা ব্যবসায়ী সমিতি পুরস্কার, ইত্যাদি।


এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর ভবিষ্যতের লক্ষ্য হল বাংলাদেশের জুতা শিল্পকে আরো উন্নত ও প্রগতিশীল করা। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর মান, ডিজাইন, নির্মাণ ও বিক্রয় কার্যক্রমে আরো বেশি নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর বাজার শেয়ার আরো বাড়াতে ও বিশ্বের আরো অনেক দেশে জুতা রপ্তানি করতে চায়। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর জন্য আরো বেশি গ্রাহক সন্তুষ্টি ও বিশ্বাস তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জুতা শিল্পের একটি গৌরবময় নাম। এই কোম্পানি বাংলাদেশের জুতা শিল্পকে বিশ্বমানের একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্মান ও সমৃদ্ধি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই কোম্পানি তার জুতা গুলোর জন্য বিশ্বের জুতা শিল্পের একটি বিশিষ্ট পরিচয় তৈরি করেছে। এই কোম্পানি বাংলাদেশের জুতা শিল্পের একটি উদাহরণ ও অগ্রণী হিসেবে কাজ করছে।

এই আর্টিকেলটি এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড নিয়ে লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলে এপেক্স কোম্পানি লিমিটেড এর ইতিহাস, পরিচালনা, পণ্য, বাজার, প্রচার, পুরস্কার ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

বাটা কোম্পানির প্রতিষ্ঠা কিভাবে হয়?

 বাটা কোম্পানির ইতিহাস নিয়ে আপনি যদি আগ্রহী হন, তাহলে আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিতে পারি।


 বাটা কোম্পানি ১৮৯৪ সালে চেক প্রজাতন্ত্রের য্‌লিন শহরে টোমাস বাটা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি তার পরিবারের মুচি পেশার পরম্পরা অনুসরণ করেন। তিনি পাইকারি হারে জুতা উৎপাদনে বিশেষজ্ঞ হন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর জন্য জুতা তৈরি করেন। তিনি তার কর্মীদের জন্য বাসস্থান, সিনেমাহল, এবং অন্যান্য সেবার ব্যবস্থা করেন। 


তার মৃত্যুর পর তার সৎভাই জ্যান আন্টোনিন বাটা কোম্পানির নেতৃত্ব নেন। তিনি বাটা কোম্পানির ব্যবসার আকার বিশ্বজুড়ে বিস্তার করেন। বাটা কোম্পানি বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জুতা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। 



আশা করি আপনি এই তথ্যগুলি উপকারী পাবেন। আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান, তাহলে আমাকে জানান। 








বাংলাদেশের জুতা কোম্পানির ইতিহাস

বাংলাদেশের জুতা কোম্পানির ইতিহাস নিয়ে আমি একটি আর্টিকেল লিখেছি। আশা করি আপনার জন্য এটি উপকারী হবে।







বাংলাদেশের জুতা শিল্প একটি প্রাচীন ও গৌরবময় শিল্প। বাংলাদেশের জুতা শিল্পের উৎপত্তি প্রায় ১০০ বছর আগের কথা, যখন চামড়া শিল্প এবং কারুকালা শিল্পের সমন্বয়ে জুতা তৈরি শুরু হয়। তখন জুতা তৈরি করা হতো হস্তকর্ম ও স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জুতা শিল্পের বিকাশের পথে কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করেছে। এই পর্যায়গুলি হলো-


- প্রথম পর্যায় (১৯৩০-১৯৭০): 


এই পর্যায়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্প স্থানীয় বাজারের জন্য উৎপাদন করতো। এই সময়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্পের প্রধান নির্মাতা ছিলেন বাটা, যা ১৯৬২ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাটা ছাড়াও অন্যান্য কিছু স্থানীয় কোম্পানি যেমন কুমিল্লার কুমিল্লা শুটিং কোম্পানি, ঢাকার সানডাল কোম্পানি, চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম শুটিং কোম্পানি ইত্যাদি জুতা উৎপাদন করতো। এই পর্যায়ে জুতা তৈরি করা হতো মূলত চামড়া, কাঠ, ক্যানভাস ও রাবার থেকে।


- দ্বিতীয় পর্যায় (১৯৭০-১৯৯০): 


এই পর্যায়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিশ্বব্যাপী বাজারের জন্য উৎপাদন করতো। এই সময়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্পের প্রধান নির্মাতা ছিলেন এপেক্স, যা ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এপেক্স ছাড়াও অন্যান্য কিছু কোম্পানি যেমন পিকাসো, লেথারেক্স, বেনজির, ইত্যাদি জুতা উৎপাদন করতো। এই পর্যায়ে জুতা তৈরি করা হতো মূলত চামড়া, প্লাস্টিক ও অন্যান্য পেট্রোরাসায়নিক থেকে প্রাপ্ত উপকরণ ব্যবহার করে।


- তৃতীয় পর্যায় (১৯৯০-বর্তমান): 


এই পর্যায়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিশ্বব্যাপী বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও উৎপাদন করতো। এই সময়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্পের প্রধান নির্মাতা ছিলেন বাটা, এপেক্স, ওয়াকার, লেথারেক্স, বেনজির, পিকাসো, ইত্যাদি। এছাড়াও অনেক কোম্পানি তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়ে স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করেছে। এই পর্যায়ে জুতা তৈরি করা হয় মূলত চামড়া, প্লাস্টিক, রাবার, ক্যানভাস। আর্টিকেলটি এখানে শেষ হয় না। আমি আরও কিছু তথ্য যোগ করেছি।


এই পর্যায়ে বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিভিন্ন ধরণের জুতা উৎপাদন করে, যেমন স্নিকার্স, বুট, স্যান্ডেল, লোফার, হাইল, ফ্ল্যাট, ইত্যাদি। বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম জুতা রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে একটি। বাংলাদেশের জুতা শিল্প প্রতি বছর প্রায় ১০ কোটি ডলারের মানের জুতা রপ্তানি করে। বাংলাদেশের জুতা শিল্পের প্রধান রপ্তানি বাজার হলো ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইত্যাদি।


বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশের জুতা শিল্প প্রায় ১০ লাখ মানুষকে চাকরি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের জুতা শিল্প চামড়া শিল্পের সাথে সমন্বিত ভাবে কাজ করে এবং চামড়ার উপযোগী ব্যবহার ও নিরাপদ নিষ্কাশনের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক বিনিময় করে এবং জুতা শিল্পের উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও প্রশিক্ষণ করে।


বাংলাদেশের জুতা শিল্প একটি সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় শিল্প। বাংলাদেশের জুতা শিল্প বিশ্বের জুতা শিল্পের মধ্যে একটি অনন্য অবদান রাখে। বাংলাদেশের জুতা শিল্প আরও উন্নতি করার জন্য নতুন প্রযুক্তি, ডিজাইন, মান নিয়ন্ত্রণ, বাজার বিস্তার, সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা, ইত্যাদির প্রয়োজন। বাংলাদেশের জুতা শিল্প এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে পারলে, তাহলে এটি বিশ্বের জুতা শিল্পের একটি শীর্ষ অংশ হিসেবে স্থাপন করতে পারবে।



১০ হাজার টাকার মধ্যে কোন জুতা কিনা উচিত?

  আপনি যদি  ১০ হাজার টাকার মধ্যে কোন জুতা কিনতে চান, তাহলে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ দিতে পারি। প্রথমে, আপনার জুতা কেনার উদ্দেশ্য কি তা বেছে ন...